কিডনি দেওয়ার বউয়ের গোপন ফাঁস করে দিলেন স্বামী

 কিডনি দেওয়ার বউয়ের গোপন ফাঁস করে দিলেন স্বামী



নিজের কিডনি দিয়ে স্বামীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন, সেই স্বামী সুস্থ হয়ে জড়িয়ে পড়লেন পরকীয়া ও অনলাইন জুয়ায়। শুধু তা-ই নয়, স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে বসবাস করছেন তিনি- তারেকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছিলেন স্ত্রী টুনি।

কিন্তু এখন স্বামীর মুখে শোনা যাচ্ছে উলটো কথা।
বআলাপকালে তারেক বলেন, যখন চেন্নাইয়ের ডাক্তার বললো যে অপারেশন করে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। তখন এসে আমি সেটা করালাম। আমার টাকাতেই, কারণ তখন আমার টাকা ছিল, ব্যবসা ছিল।

টুনি যখন কিডনি দেওয়ার পরিবর্তে দ্বোতলা বাড়ি লিখে দিতে বললো তখন আমি সেটা রেজিস্ট্রি করে দিলাম। দ্বোতলা পুরোটাই লিখে দিলাম, যেটার দাম এখন ৬০ লাখ টাকার মতো।
তারেক অভিযোগ করে বলেন, তখন সে কিডনি দিলো, ওর মা বোন তখন অনেক নিষেধ করছিল তারপরেও সে কিডনি দিলো। কারণ তখন আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো।

তারপর থেকে তাঁর মন মানসিকতা পরিবর্তন হতে লাগলো। মোবাইলের দিকে এতো আকর্ষণ যে, টিকটকের ভেতর সে যখন ঢুকলো তারপর থেকে একের পর একজনের সঙ্গে সে প্রেম করে। একজন থাইল্যান্ড থেকে চলে আসছে, তাঁর বৌ ছিল ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ওই লোক আমাকে এসে যখন বললো, তখন আমি বললাম দেখেন সে এর আগেও একবার করছে আমার এক বন্ধুর সাথে। সে কোনো সরিও বলে না, দুঃখও প্রকাশ করে না।

ধরার পর চুপচাপ। তিন বছর ধরে রিজভী নামের একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। আমার সঙ্গে থাকার সময় সে চ্যাটিং করতো। একদিন রাতে দেখি সে নাই। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে যে রুম কখনো খুলি না, সেই রুম খুলে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরি। দুইটা চড় মেরে তাকে নিয়ে আসি।

স্ত্রীর একাধিক সম্পর্ক নিয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে এরপর সাভার থানায় নারী নির্যাতনের মামলা করছে। এরপরে চ্যাটিং করতো। আমি একসময় বাসা থেকে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নেই। কাপড় চোপড় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সে আমাকে বলে যেও না। আরপর আমি থেকে যাই। সেই ওই ছেলেকে টাকাও দিয়েছিল। প্রতারণার শিকারও হয়েছিল। তার জন্য সে কান্না করতো। আমার কাছে এসেও কান্না করতো। আমি তাকে বোঝালাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আমার প্রতিও তাঁর ঘৃণা সৃষ্টি হলো।

এরপর কারাবরণ করতে হলো জানিয়ে তারেক বলেন, একদিন আমি তাকে বললাম, দেখো তোমার এসবের মাঝে আমি আর নেই। আমি চলে যাচ্ছি। তোমার যাকে খুশি এনে রাখো, যার সঙ্গে খুশি থাকো। আমি এসবের মাঝে নেই। এরপর আমাকে জেলে যেতে হলো।

তারেক বলেন, আমাকে জেলে যেতে হলো। যৌতুকের মামলাইয় টানা ৪০ দিন জেলে ছিলাম। এরপর নারী নির্যাতন মামলা। ওদের প্ল্যান ছিল আমাকে জেলে মেরে দিবে। আমি কিডনির ওষুধ না খেলে কিন্তু মারা যাবো। আমাকে যখন বাসা থেকে পুলিশ নিয়ে গেছে এটা কিন্তু কেউ জানতো না। আমার মাকে তারা অনেক আগেই তাড়াইছে। ফলে আমার মা জানতে পারলো না। আমার ছোটভাইটা আমাকে জামিন করালো।

নিজের পরকীয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বললেন, টুনিরই অভিযোগ আমি শারীরিক ভাবে অক্ষম, তাহলে আমি কিভাবে আরেকজন মেয়ের সঙ্গে থাকবো? এসব তার বানানো।

তারেক এখন সাভারের সেই নিজের বাড়িতেও যান না। তাঁর ফোন কাপড়, সবকিছুই রয়েছে সেখানে। তবুও সেখানে যান না। তাঁর মা তাকে সেখানে যেতে দিতে চান না, তার মনে করেন তিনি সেখানে গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে- এমনটাই জানালেন তারেক।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে পারিবারিকভাবে কলেজেপড়ুয়া তরুণী উম্মে সাহেদীনা টুনির সঙ্গে মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবক তারেকের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পরই তারেক ও টুনির সংসার আলো করে আসে একটি পুত্রসন্তান। নাম রাখা হয় আজমাইন দিব্য। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। তবে, ২০০৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারেক।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url